Top 3 Useful Apps for Android / Android ব্যবহার কারীদের জন্য ৩ টি দারুণ Apps।
আসসালামু-আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!
আমরা আমাদের স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। আমাদের নিজেদের ফোনেও অনেকগুলো App Install করা আছে। যার বেশির ভাগ App -ই খুব বেশি দরকারি না। তবে এমন কিছু App আছে যেগুলো ছাড়া আমাদের একদমই চলে না।
আজকে আমরা আপনাদের সাথে এমন ৩-টি অ্যাপের এর নাম বলব। যেগুলো খুবই উপকারী এবং এই অ্যাপ গুলো রেগুলার ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের লাইফ অনেক সহজ হয়ে যাবে। এই অ্যাপ গুলো আমাদের কাজ, দিন সবকিছু মিলিয়ে আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দেবে। এই App গুলো আপনি Google Play Store এ তো পাবেনি, পাশাপাশি গুগলে সার্চ করলেও পেয়ে যাবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
1. “IFTTT” (If This Then That)
আমাদের লিস্টের প্রথম অ্যাপটির নাম হচ্ছে “IFTTT” । যার পুরো নাম হচ্ছে “If This Then That”। এই অ্যাপটি আপনি চাইলে রেগুলার ব্যবহার করতে পারেন।
এবং এই অ্যাপটি আপনার জীবনকে খুবই সহজ করে দিতে পারে। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ কে একসাথে Control করতে পারবেন এবং Automatic করে দিতে পারবেন। যেমন আপনি যখনই ফেসবুকে কোন একটা Status Publish করবেন, সেটা সাথে সাথে Automatic Twitter-এ tweet হয়ে যাবে। আবার আপনি যখনই ইউটিউব এ কোন কিছু আপলোড করবেন, সেটা Automatic টুইটারে কিংবা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হয়ে যায়। তার মানে হচ্ছে আপনি সবগুলো অ্যাপ কে একসাথে Integrate করতে পারবেন মাত্র একটি অ্যাপের মাধ্যমে।
সেই সাথে আপনার বাসায় যদি কিছু স্মার্ট ডিভাইস থাকে, আপনি চাইলে সেগুলোকেও এই অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই Control করতে পারবেন। যেমন আপনি Geo Location Tag করতে পারেন, যখনই আপনি ফোনটি নিয়ে নির্দিষ্ট একটি এরিয়ার বাইরে চলে যাবেন, তখনই আপনার বাসায় থাকা যত Smart Light, Fan, AC ইত্যাদি সবকিছু Automatic Off হয়ে যাবে। আবার যখনই আপনি ফোনটি নিয়ে নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে চলে আসবেন তখনই সবগুলো Automatic On হয়ে যাবে।
এভাবে আপনি আপনার বাসার স্মার্ট ডিভাইসগুলো এই অ্যাপের মাধ্যমে Control করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ফিচার এই এপের মধ্যে উপভোগ করতে পারবেন।
এবং এই ফিচারগুলো কে বলা হয় ‘Applets’ । আপনারা যদি গুগলে সার্চ করেন ‘Most Useful IFTTT Applets’ লিখে, তাহলে অনেকগুলো লিস্ট পাবেন যেখানে কোন না কোন একটা আপনার কাজে লাগবেই।
2. “Wallet”
আমাদের লিস্টের দ্বিতীয় অ্যাপটি হচ্ছে “Wallet” । ধরুন আপনি একজন Family Person আপনাকে আপনার Family Maintain করতে হয়। যে কারণে প্রচুর পরিমাণে আয় এবং ব্যায়ের হিসাব রাখতে হয়। তার জন্য এই অ্যাপটি আপনার বেশ কাজে আসবে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার আয় এবং ব্যায়ের সকল হিসাব খুব সহজেই রেখে দিতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার সবগুলো একাউন্টের হিসাব রেখে দিতে পারেন। যেমন আপনার ব্যাংক একাউন্টে কত টাকা জমা আছে, আপনার কাছে ক্যাশ কত আছে, আপনার বিকাশ কিংবা অন্যান্য একাউন্টে কত টাকা আছে সেগুলো একসাথ করে হিসাব রাখতে পারবেন।
এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে যেই ইনকাম গুলো আসবে সেই ইনকাম গুলোর হিসাব রাখতে পারবেন। সেই সাথে আপনি কোথায়, কবে, কোন সময় কত টাকা খরচ করেছেন সেই খরচের লিস্ট ও রাখতে পারবেন গুছিয়ে।
মাস শেষে এই অ্যাপটি আপনাকে সুন্দর একটি রিপোর্ট দেখাবে যে আপনার ইনকাম কত, আপনার খরচ কত, আপনার হাতে বর্তমানে আছে কত। এই রিপোর্টটা দেখে আপনি একটা আইডিয়া নিতে পারবেন যে কিভাবে খরচ কমানো যায়। যার ফলে কিছু টাকা সেইভও করা যায় পরের মাসে।
এই অ্যাপটি যদি আপনি ব্যবহার করে না থাকেন, তাহলে আমি বলব অবশ্যই এই অ্যাপটি ব্যবহার করুন।
3. “AirDroid”
আমাদের লিস্টের তৃতীয় অ্যাপটি হচ্ছে “AirDroid” । এই অ্যাপটি হয়তো অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। AirDroid এর মাধ্যমে আপনার Mobile এবং PC দুটোকেই একসাথে Wirelessly Connect করতে পারবেন ।
আমরা সবচেয়ে বেশি যে ফিচারটি ব্যবহার করি, সেটি হচ্ছে File Transfer করা। আমাদের PC থেকে অনেক সময় মোবাইলে ছোটখাটো File Transfer করতে হয়। যেগুলো ক্যাবল দিয়ে বারবার Transfer করা অনেকটা বিরক্তিকর মনে হয়। যার কারণে আমরা Wirelessly ফাইলগুলো PC থেকে মোবাইলে কিংবা মোবাইল থেকে PC-তে খুব সহজেই Transfer করতে পারি AirDroid দিয়ে।
এছাড়াও আপনারা চাইলে মোবাইলের স্ক্রিন আপনার PC-তে দেখতে পারেন এবং পিসিতে মোবাইলের স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারেন। পিসি থেকে আপনার মোবাইলকে খুব সহজেই Control করতে পারেন, আপনার মোবাইলের Camera PC-তে ব্যবহার করতে পারেন।
আর একটা বিশেষ ফিচার আমাদের কাছে বেশি ভালো লেগেছে এবং আমরা যেটা বেশি ব্যবহার করি সেটা হচ্ছে মোবাইলের Notification PC-তে দেখা। আমরা যখন PC-তে কাজের মধ্যে বিভোর থাকি তখন বারবার মোবাইলে নোটিফিকেশন আসলে মোবাইল Unlock করে Notification চেক করাটা অনেকটা ঝামেলার মনে হয়। এবং কিছু টাইম নষ্ট হয় সেই কারণে মোবাইলের Notification গুলো আমরা সরাসরি PC-তে দেখতে পারি AirDroid এর মাধ্যমে। এই ফিচারটি আমাদের জন্য অনেক Time Saving।
এছাড়াও AirDroid দিয়ে মোবাইলের সকল File, Photos, Audio, Video, Contact Info, Message, Notification সহ সবকিছু PC থেকে Access করতে পারবেন।
এই ছিলো আমাদের আজকের আর্টিকেল। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে সেয়ার করতে ভুলে যাবেন না। ধন্যবাদ।
Post a Comment